ই পাসপোর্ট আবেদনের পূর্ব প্রস্তুতি | Required Documents For ePassport BD | ePassport-bd.com
ই-পাসপোর্ট তৈরির পূর্ব প্রস্তুতি বা পরিকল্পনা হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বা বিষয়। আপনারা পরিকল্পনা তে যদি ভুল হয় তবে আপনাকে সেই ভুলের জন্য সময়, টাকা, ভোগান্তির মাসুল দিতে হবে। আপনি যদি নিজেই নিজের পাসপোর্ট ঘুষ বা ভোগান্তি ছাড়া করতে চান তবে আপনাকে সঠিক পরিকল্পনা করে এগোতে হবে। যাতে কোন তথ্য বা কাগজপত্রে / পাসপোর্ট এর জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এ ভুল না ধরতে পারে।
বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার E-passport / ই-পাসপোর্ট প্রকল্প খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। আগামী তে আর ভুল সংশোধন করার কোন সুযোগ রাখবে না। ভুল সংশোধন এর সুযোগ দেওয়াতে বাংলাদেশের পাসপোর্ট এর মান কমে যাচ্ছে বিশ্বে।
এই ই-পাসপোর্ট আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটা পেতে অনেক ঝামেলায় পরতে হয় অনেকের। তাই BD ePassport করার পূর্বে নিচের ধাপ গুলো অনুসরণ করুন। তাতে আপনার গুরুত্বপূর্ণ সময়, টাকা বেচে যাবে।
ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে / ই-পাসপোর্ট করতে যা প্রয়োজন সেগুলো গুছিয়ে কাছে রাখুনঃ
💚 স্মার্ট NID কার্ড বা NID কার্ড এর আসল কপি কাছে রাখুন। ২০ বছরের বেশি যাদের বয়স তাদের NID লাগবেই। NID ব্যাতিত ই- পাসপোর্ট হবে না।
১ দিন থেকে ১৮ বছর কম অপ্রাপ্ত পর্যন্ত লোকের ক্ষেত্রে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন মূল কপি সাথে রাখুন। জন্ম নিবন্ধন কপি ইংলিশ এ হলে ভাল হয়।
১৮ থেকে ২০ বছর যাদের বয়স তারা জন্ম নিবন্ধ এবং NID যদি থাকে তবে উভয় দিয়েই পাসপোর্ট করতে পারবেন।
যদি এই মুহুর্ত বিদেশে থাকেন এমন কার কাছে NID না থাকে এবং তার কাছে তার জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ থাকে তবে সেটা ব্যবহার করে বাংলাদেশী কোন মিশন থেকে পাসপোর্ট করতে পারেন।
💚 অপ্রাপ্ত বয়সের লোকের জন্য তার বাবা, মা এর NID গুছিয়ে রাখবেন। ( ১ দিন থেকে ১৮ বছর এর কম)
💚 সম্ভব হলে আপনারা স্থানীয় নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে আপনার NID কার্ডের সার্ভার কপি টি তুলে নিয়ে আসুন। ঐ সার্ভার কপি তে আপনার সম্পর্কে সব ধরনের তথ্য থাকবে এবং ই-পাসপোর্ট করতে গেলে অফিসার আপনার আবেদন ফর্মের সাথে ঐ তথ্য গুলো মিলিয়ে দেখবে।
💚 পেশা প্রমানের জন্য উপযুক্ত ডকুমেন্ট কাছে রাখুন।
💚 স্থানীয় ইউনিয়ন, পৌরসভার থেকে নাগরিক সনদ/ প্রত্যায়ন সংগ্রহ করে কাছে রাখুন।
💚 ইউটিলিটি বিল / বিদ্যুৎ বিলের কাগজ কাছে রাখুন। যা ২/১ মাস পূর্বে পরিশোধ করা হয়েছে।
💚 যদি পূর্বে MRP Passport / এম আর পি পাসপোর্ট থাকে এবং তাতে বৈবাহিক অবস্থার পরিবর্তন আনতে চান নতুন E-passport / ই-পাসপোর্ট এ তবে তার জন্য। কাবিননামা/তালাকনামা / বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন ডকুমেন্টস কাছে রাখুন।
💚 সন্তান দত্তক নিয়েছেন এমন হলে তার প্রমান ডকুমেন্ট কাছে রাখুন।
💚 ই-পাসপোর্টের ফি কত, তা জেনে তা কাছে রাখুন।
পাসপোর্ট করতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস / required documents for e passport bd কাছে থাকলে আপনার কাজ অর্ধেক হয়ে গেছে মনে করতে পারেন।
ই-পাসপোর্ট আবেদন এর প্রতিটি ধাপ আমাদের ওয়েবসাইটে ধাপে ধাপে ছবি সহ বর্ননা করা আছে, সেটা সময় নিয়ে পড়ুন এবং সেই অনুসারে এগিয়ে যান।
👨 যদি কিছু বুঝতে অসুবিধা মনে হয় তবে কমেন্ট করে জানান, আমরা আপনার প্রশ্নের উত্তর দিবো।