এম আর পি পাসপোর্ট থেকে ই-পাসপোর্ট | MRP to ePassport Reissue Step by Step
গুরুত্বপূর্ন ৫ টি ধাপ হলঃ 💢 ১- আপনার এলাকার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ই পাসপোর্ট চালু হয়েছে কি না নিশ্চিত হওয়া। 💢 ২- অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করেন। 💢 ৩- ই পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করেন। 💢 ৪- প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে ছবি এবং ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য অফিসে যাওয়া। 💢 ৫- আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে ই পাসপোর্ট সংগ্রহ।
এক নজরে দেখেনিন এই আর্টিকেলে যা থাকছেঃ
💢 PK ১ম ধাপঃ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের তালিকা
ই পাসপোর্ট চালু হয়েছে এমন আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের তালিকা থেকে দেখে নিন আপনার এলাকার অফিসে ই পাসপোর্ট ইস্যু শুরু হয়েছে কি না। যদি আপনি আগেই নিশ্চিত হয়ে থাকেন তবে ২য় ধাপ অনুসরণ করুন।
💢 PK২য় ধাপঃ অলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন পদ্ধিতি
অলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে আপনার নির্ভুল এমআরপি পাসপোর্ট এবং NID কার্ড টি অথবা ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন কার্ড কাছে রাখুন। নিচে ছবিতে দেওয়া এম আর পি পাসপোর্ট অনুসারে ই পাসপোর্ট এর আবেদন করে দেখানো হচ্ছে। আপনারও আপনাদের পাসপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসারে ধাপে ধাপে ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফরম টি পূরণ করুন।
⇒ প্রথমে বাংলাদেশ সরকারের ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন পোর্টালের লিংক https://www.epassport.gov.bd/landing
প্রবেশ করুন।
চিত্রঃ MRP থেকে ই পাসপোর্ট আবেদনের ২য় ধাপ |
চিত্রঃ ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন |
চিত্রঃ ই পাসপোর্ট আবেদন |
Full Name: এর ঘরে আপনার নামের সম্পূর্ন অংশ দিবেন ( যেমনঃ MD ZAKIR HOSSAIN ) যদি নামের আগে MD থাকে এবং তার পরে ডট . থাকে তবে ডট বাদ দিবেন। ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়ার এমন কোন পদবী ব্যাবহার করা যাবে না।
Given Name (optional): এখানে নামের প্রথম অংশ দিবেন। ( যেমনঃ MD ZAKIR ) যদি কারো নামে ৩/৪ টি অংশ থাকে
( যেমনঃ MD ZAKIR HOSSAIN ) তবে প্রথম ২ টি অংশ যাবে গিভেন নেম এ।
Surname: এখানে আপনার বংশগত নাম বা নামের টাইটেল বা নামের শেষ অংশ যাবে ( যেমনঃ HOSSAIN )
Contact Information: এই স্থানে আপনার ফোন নাম্বার দিবেন। আপনার ব্যাক্তিগত নাম্বার ব্যাবহার করেন যাতে সহজেই আপনার সাথে অফিস চাইলে যোগাযোগ করতে পারে।
বিঃদ্রঃ কিছু লোকের একটি মাত্র অংশ থাকে নামে ( যেমনঃ RIPON ) এমন হলে গিভেন নেম বাদে ফুল নেম এবং সারনেম পূরণ করতে হবে।
এর নিচে থাকা হিউম্যান ভেরিফিকেশন কমপ্লিট করে Continue বাটনে চাপ দিন।
⇒ Personal Information:
এখানে I apply for Myself অপশনে টিক দিলে একাউন্ট করার পূর্বে আপনার দেওয়া সকল তথ্য অটো ফিলাপ হয়ে যাবে। একাউন্ট যার তার এপ্লাই বাদে অন্য কার পাসপোর্ট এপ্লিকেশন করা হলে ঐ টিক দিতে হবে না। টিক না দিয়ে নিচের অপশন গুলো নিজ হাতে পূরণ করে দিবেন।⇒ Address :
এড্রেসের প্রথম ঘর গুলো Permanent Address এর। যেখানে আপনার স্থায়ী ঠিকানা সেটা পূরণ করবেন ( আপনার NID কার্ড অথবা পূর্বের পাসপোর্টে যেভাবে দেওয়া আছে) City/ Village/ House এই ঘরে আপনি গ্রামের হলে গ্রামের নাম হবে, শহরের হলে বাড়ি নাম্বার দিবেন।
তার নিচে রোড, ব্লক , সেক্টর যদি থাকে। গ্রামে হলে সাধারণত থাকে না।
Select Post Office অপশনে আপনার পোষ্ট অফিস লিখুন, লিস্টে থাকা পোষ্ট অফিসের নাম এবং কোড পূরণ হয়ে যাবে
Select Police Station: অপশনে আপনার স্থায়ী ঠিকানা যে থানার আন্ডারে সেটা সিলেক্ট করবেন।
Present Address: এড্রেস অপশনের মধ্যে থাকা পেজেন্ট এড্রেস বা বর্তমান ঠিকানা গুরুত্বপূর্ন
আপনার স্থায়ী ঠিকান এবং বর্তমান ঠিকান যদি একই হয় তবে নিচে ছবিতে দেখানো বক্সে ক্লিক করে দিলেই হবে। আর যদি বর্তমান ঠিকান স্থায়ী ঠিকানা থেকে আলাদা হয় সে ক্ষেত্রে টিক না দিয়ে নিজ হাতে ঘর গুলো পূরণ করে দিবেন।
⇒ ID Documents: এম আর পি পাসপোর্ট থেকে ই পাসপোর্ট করতে হলে বা পাসপোর্ট রি ইস্যু করতে হলে ID Documents অপশন আসবে। এখানে পূর্বে থাকা MRP Passport এর তথ্য দিতে হবে।
Yes, I have a Machine Readable Passport (MRP) এই অপশনে ক্লিক দিবেন যদি আপনার কাছে MRP Passport থাকে। যদি Passport e অর্থাৎ ই পাসপোর্ট থাকে এবং তা কোন কারনে পূনরায় রি ইস্যু প্রয়োজন তবে Yes, I have an Electronic Passport (ePP) তে ক্লিক দিবেন।
Select reissue reason এর ড্রপ ডাউন মেনু থেকে কি কারনে পাসপোর্ট রি ইস্যু হচ্ছে তা সিলেক্ট করে দেন।
⇒ Parental Information: এখানে আপনার পিতা, মাতার তথ্য দিয়ে পূরণ করুন। বাবা মায়ের NID নাম্বার না দিলেও চলবে। আপনার নিজের NID / পূর্বের MRP পাসপোর্ট অনুসারে অনুসারে পিতা মাতার নাম লিখতে হবে।
ইমারজেন্সি কন্ট্রাক অপশনের নিচে Save and Continue বাটনের উপর বক্সে এ লাল চিহ্ন দেওয়া স্থানে টিক চিহ্ন দিয়ে রাখবেন যাতে আপনার পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা কি তা SMS এর মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেয় পাসপোর্ট অফিস।
শেষে Save and Continue চেপে পরের অপশনে যেতে হবে।
⇒ Passport Option: নামের এই অপশনে কত পৃষ্ঠার কত বছরের পাসপোর্ট নিতে চান সেটা সিলেক্ট করে দিতে হয়। পাসপোর্ট ফি কত সেটাও এখানে উল্লেখ থাকে।
⇒ Delivery option and Appointment: এই অপশনে নির্দিষ্ট করে দিতে হয় আপনি পাসপোর্ট Regular Delivery না Express Delivery চান । তাছাড়া এই পেজে উল্লেখ থাকে আপনার পাসপোর্ট এর জন্য এপয়েনমেন্ট ডেট দিতে হবে কি না।
💢 PK ৩য় ধাপঃ ই পাসপোর্ট ফি পরিশোধ
⇒ ব্যাংকে পাসপোর্ট ফি প্রদান ( অফলাইনে)
NID কার্ড এবং পেমেন্ট সামারি পেজ প্রিন্ট কপি নিয়ে বাংলাদেশের যেকোন সরকারী এবং বেসরকারি ব্যাংক থেকে এ চালানের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়া যায়। টাকা জমা দেওয়া হলে টাকা জমা রশিদ , পেমেন্ট সামারি, NID কার্ড নিয়ে চলে আসুন।
⇒ অনলাইনে পাসপোর্ট ফি প্রদান ( এ চালান )
এ চালান ওয়েবসাইটে গিয়ে বাম পাশে থাকা পাসপোর্ট ফি অপশন সিলেক্ট করলে একটি পপ আপ ওপেন হবে, সেখানে মেনু থেকে পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠার সংখ্যা এবং কর দিন মেয়েদি কত দিনে পাসপোর্ট পেতে ইচ্ছুক তা নির্বাচন করে নিচে থাকা OK বাটনে চাপ দিতে হবে।
শনাক্তকরণ নাম্বার অর্থাত পেমেন্ট স্লিপের OID নাম্বার, NID অনুসারে নাম, ফোন নাম্বার বাধ্যতামূলক দিতে হবে। তার পর অনলাইন ব্যাংকিং সিলেক্ট থাকা অবস্থায় নিচের সারিতে থাকা আপনার যে ব্যাংকের কার্ড আছে তাতে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপ অনুসরণ করলেই কাজ শেষ। টাকা জমা দেওয়ার পর জমা স্লিপ ডাউনলোড করে রাখবেন।
💢 PK ৪র্থ ধাপঃ ই পাসপোর্ট এর প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রঃ
ছবি তোলা এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর জন্য শিডিউল ডেট নেওয়া হলে সেই ডেটে যাবেন আর যদি আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে শিডিউল ডেট নেওয়া না লাগে তবে আপনার সুবিধা মত সময়ে যাবেন। নিচের কাগজ সমূহ নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে। অফিসে জমা দেওয়ার সময় রিসিপশন থেকে একটি পাসপোর্ট রি ইস্যু ফরম দিবে সেটা নিজ হাতে পূরণ করে একই সাথে জমা দিবেন।
⇒ NID / Birth Certificate মূল কপি এবং ফটোকপি
⇒ পূর্বের MRP পাসপোর্ট মূল কপি এবং ফটোকপি
⇒ Payment Slip - ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া রশিদের মূল কপি
⇒ GO/NOC সরকারী চাকরিজীবী হলে। অন্যদের পেশা প্রমাণের ডকুমেন্টস ( কিছু অফিস এই ডকুমেন্ট চায় না, তবে সাথে করে নিয়ে যাওয়া উচিৎ)
⇒ আবেদন পত্র, পেমেন্ট সামারির প্রিন্ট কপি
⇒ বৈবাহিক অবস্থা পরিবর্তন হলে তা প্রমাণের ডকুমেন্টস
💢 PK ৫ম ধাপঃ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে ই পাসপোর্ট সংগ্রহ
এম আর পি থেকে ই পাসপোর্ট রি ইস্য বা নতুন পাসপোর্ট আবেদন দিন বায়োএনরোলমেন্ট শেষে ডেলিভারি স্লিপ প্রদান করে প্রতিটি পাসপোর্ট অফিস। ঐ ডেলিভারি স্লিপের উপরে বাম পাশে উল্লেখ থাকে সম্ভব্য পাসপোর্ট ডেলিভারি ডেট। ঐ ডেট এ গিয়ে পাসপোর্ট অফিস এর ডেলিভারি কাউন্টার থেকে আপনার ই পাসপোর্ট নিয়ে আসবেন।
এমআরপি পাসপোর্ট থেকে ই-পাসপোর্ট MRP to ePassport ভিডিও টিউটেরিয়াল
💢 সাধারণ প্রশ্নঃ 💢
ই পাসপোর্ট পেতে কতদিন সময় লাগে ? How many days to take e passport
⇒ অতীব জরুরী পাসপোর্ট ২ দিনে, জরুরী পাসপোর্ট ৭ দিনে এবং রেগুলার পাসপোর্ট ২১ কর্ম দিবসে পাওয়া যায়।
ই পাসপোর্ট এর সুবিধা কি ? benefits of e-passport
⇒ ই পাসপোর্ট এ ব্যাক্তির তথ্য এলেক্ট্রনিক চিপ এর মধ্যে থাকে। আন্তর্জাতিক মানের ই পাসপোর্ট। এম আর পি পাসপোর্ট থেকে অনেক উন্নত।
ই পাসপোর্ট ফি কত ? cost of e-passport in Bangladesh
⇒ ই পাসপোর্ট ফি আবেদন কৃত পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠা, মেয়াদ, প্রাপ্তির সময়ের উপর নির্ভর করে। সর্ব নিম্ন ফি ৪,০২৫ টাকা থেকে শুরু করে ১৩,৮০০ টাকা পর্যন্ত। দেশের বাইরে ৩০ ডলার থেকে শুরু করে ২২৫ ডলার পর্যন্ত।
NID ছাড়া ই পাসপোর্ট পাওয়া যায় ? Can apply e-passport without NID card
⇒ হ্যাঁ, তবে সে ক্ষত্রে বয়স ১৯ এর নিচে হতে হবে।
এম আর পি পাসপোর্ট এবং ই পাসপোর্ট একই ? difference between e-passport and mrp
⇒ না, একই না। MRP পাসপোর্ট হল মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এবং ই পাসপোর্ট হল ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট। ই পাসপোর্টের মধ্যে বিশেষ এক ধরনের চিপ থাকে যা কোন ব্যাক্তি সম্পর্কে যে তথ্য জানার দরকার সে সকল তথ্য জমা রাখে।
আমার NID তে বাবার নাম MD. MONIR HOSSAIN
উত্তরমুছুনআমি ই পাসপোর্ট এর আবেদনে বাবার নামে (MD. এইভাবে দিয়ে ফেলেছি)
আমার নিজের নামে ডট ব্যবহার করিনি। বাবার নামে ডট ব্যবহার করেছি। এখন এটা নিয়ে কোন সমস্যা হবে??
এটা ভুল। অফিস বরাবর একটা আবেদন লিখে নিয়ে যাবেন। আবেদনে উল্লেখ করবেন ভুল করে পিতার নামের আগে ডট দেওয়া হয়ে গেছে। আশা করি ছবি তোলার সময় কম্পিউটার অপারেটর ভুল সংশোধন করে দিবে।
মুছুনআসসালামু আলাইকুম স্যার, আমি ২০০৮ সালে হাতের লেখা পাসপোর্ট দিয়ে দুবাই তে গিয়েছিলাম, সেখানে দুই বার পাসপোর্ট রিনিউ করেছি,আমার পাসপোর্ট MRP. এখন আমি আমার NID সংশোধন করে E Passport বানাতে চাচ্ছি। এখন আমি E passport বানাতে গেলে আমার পুরাতন পাসপোর্ট নাম্বার উল্লেখ থাকবে কি? দয়া করে জানা লে উপকার হইত।
উত্তরমুছুনআপনার কাছে থাকা সর্বশেষ MRP পাসপোর্ট এর তথ্য ই পাসপোর্ট আবেদন করার সময় উল্লেখ করবেন।
মুছুনআসসালামু আলাইকুম! আমার MRP passport কে E-passport এ করতে চাচ্ছি। আমার MRP passport এ NID দিয়ে করেছিলাম। আমি E-passport এ আমার BIR Certificate নাম্বার দিয়ে করতে চাই। সেক্ষেত্রে কি করা যাবে না কোন সমস্যা হবে? BIR/ NID যেকোনো একটা দিলেই তো হবে। আমার নাম,পিতার নাম, মাতার নাম,ঠিকানা সব একই। অনুগ্রহ করে যদি প্রশ্নের উত্তর দিতেন খুবই উপকৃত হতাম।
উত্তরমুছুনযদি আপনার বয়স ২০ বছরের কম হয় তাহলে জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে পাসপোর্ট রিনিউ করতে পারবেন। অথবা এই মুহূর্তে আপনি দেশের বাইরে থাকেন কাজের জন্য তবে সেই দেশে অবস্থিত এম্বাসি থেকে পাসপোর্ট রিনিউ করলে জন্মনিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট রিনিউ করতে পারবেন। অন্যথায় আপনাকে NID দিয়ে পাসপোর্ট রিনিউ করতে হবে।
মুছুনআসসালামু আলাইকুম, আমার MRP এর সাথে আমার আইডি কার্ডের সব তথ্য ঠিক আছে, কিন্তু Spouse Information এ স্ত্রীর নামের বানানের সাথে আমার স্ত্রী এর NID কার্ডের বানানের একটা অমিল আছে। তাহলে E passport এ আবেদনের সময় Spouse information এ স্ত্রীর নামের বানান কি MRP অনুসারে দিব নাকি আমার স্ত্রীর NID অনুযায়ী দিব? কাইন্ডলি জানালে উপকৃত হতাম।
উত্তরমুছুননতুন ই পাসপোর্ট করার সময় স্ত্রীর nid অনুযায়ী নামের বানান দিয়ে আগের mrp পাসপোর্টে থাকা ভুল সংশোধন করে নিতে পারবেন।
মুছুন